যদি আপনাকে আমি প্রশ্ন করি জীবনে আপনি সবথেকে বেশি কি চান- নাম, টাকা পয়সা, ক্ষমতা, মনের শান্তি, খুশি এর মধ্যে কোনটা? তবে আপনার উত্তর কি হবে? এবার যদি আমি আপনাকে বলি এই সব গুলো আপনি একটি জিনিস করার মাধ্যমে পেতে পারেন তবে আপনি কি বলবেন? হ্যাঁ এটাই সত্যি। এটা আমার মন্তব্য না এটা নেপোলিয়ন হিলের কথা। যিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করার আগে আমেরিকার ৫০০ জন ধনী মানুষের মন্তব্য নিয়ে পর্যালোচনা করেছিলেন। তার মতে সবচেয়ে বড় যদি কারো গুন ছিলো সেটা হলো ধর্য্য।
এক দিন একটা মহিলা পিকাছোর কাছে একটা অটোগ্রাফ চাইলেন, তখন পিকাছো একটি ছোট কাগজে একটি সুন্দর ছবি একে দিয়ে বললেন এই দিন এটা আমার তরফ থেকে আপনার জন্য ছোট্ট একটি উপহার। এই নিন মিলিয়ন ডলারের পেইন্টিং। মহিলা টি কাগজ টি অর্থাৎ পেইন্টিং টি নিয়ে কৌতহুলের সাথে বাড়ি গেলেন। কিন্তু তার পিকাছোর কথাটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না। তাই তিনি ঠিক করলেন তিনি তার বাড়ি পাশে কোথাও গিয়ে পিকাছোর কথার সত্যতা যাচাই করবেন। পরদিন তিনি পিকাছোর সাথে আবার দেখা করলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন স্যার গতকাল আপনি যে পেইন্টিং টা উপহার করেছিলেন আসলেই কি তার মূল্য ১ মিলিয়ন ডলার ছিলো। পিকাছো বললেন হ্যাঁ আমার মনে আছে আর সেটা তো আমি নিজেই আপনাকে জানিয়ে ছিলাম। এটা শুনে মহিলাটি বলে উঠলো আমিও আপনার মতো পেইন্টিং শিখতে চাই, যদি ৩০ সেকেন্ডেই ১ মিলিয়ন ডলার কামানো যায় তাহলে কেনো শিখবো না? তখন পিকাছো হাসতে হাসতে বললো ৩০ সেকেন্ডে আমাকে এই পেইন্টিং টা করতে আমাকে ৩০ বছর সময় দিতে হয়েছে। যদি আপনিও আপনার জীবনের ২০-৩০ বছর দিতে রাজি থাকেন তবে আপনিও হয়তো ৩০ সেকেন্ডে ১ মিলিয়ন ডলারের পেইন্টিং করতে পারবেন।
তো আপনারা এখানে দেখতে পারছেন পৃথিবীর অন্যতম পেইন্টার পাবলো পিকাছো পর্যন্ত এই একই কথা বলছেন। তো এই ধয্যই পারে আমাদের সাফল্য এনে দিতে। এই ধর্য্য আমাদের মাথার ব্রেইনের একটি অবস্থা মাত্র। মাত্র ৪টি পদক্ষেপ অনুসরন করেই আপনি আপনার ধর্যের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারবেন। আর সবথেকে মজার বেপার হলো এই চারটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে খুবই বুদ্ধিমান বা উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র একটু পরিশ্রম এবং সময়ের প্রয়োজন হয়। তো চলুন শুরু করা যাক-
পদক্ষেপ ১ঃ একটা নির্দিষ্ট বিষয় ঠিক করে ফেলুন
এটা সত্যি কথা যে জীবনে যারা সফল হতে পারে নি তাদের জীবনের নির্দিষ্ট কোনো উদ্দেশ্যই ছিলো না। ম্যাসিকে দেখে ফুটবলার হতে চায় আবার কিছু দিন পরে শচিনকে দেখে ভালো ক্রিকেটার হতে চায়। আবার কিছু দিন পরে শাহরুখ খানকে দেখে বড় অভিনেতাও হতে চায়। দিন শেষে এরা অসফল ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
পদক্ষেপ ২ঃ একটি কঠিন ইচ্ছা বা জয়ের মনোভাব তৈরি করুন
আপনি যদি বড় স্বপ্ন দেখেন তবে আপনার পথে বাধাও বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই বড় বড় সমস্যা থেকে বের হতে আপনার এই সফল হওয়ার কঠিন মনোভাবই আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এই জয়ের মনোভাব একজন সাধারণ মানুষকে সুপার হিউম্যান করে তোলে।
পদক্ষেপ ৩ঃ সকল ধরনের নেভেটিভ চিন্তা আর বিরক্তকর দিক থেকে আপনার মনকে বন্ধ করে দিন
এর মধ্যে আপনার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোক আপনাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেই। আপনি মনে রাখবেন আপনি যদি হিমালয় পাহাড়ের সবোর্চ্চ চুড়ায়ও পৌছে যান তাও একদল লোক এসে আপনাকে নিয়ে মজা করবেই। কারণ তাদের মতে পাহাড়ে চড়ে লাভটা কি? তার থেকে ভালো আরাম করে ঘরে বসে থাকো এবং টিভি দেখো। ভয়ের তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে এই সব লোকের কথার বা মন্তব্যের ভয়। শুধু মাত্র এই সব কথা চিন্তা করে অনেক লোক আছে যারা সাধারন জীবনযাপন করে কাটিয়ে দেয়। যদি আপনি এই সব বিষয়ে আপনার মনের দরজা বন্ধ করে দেন তাহলে আপনার অর্ধেক কাজই এগিয়ে যাবে।
পদক্ষেপ ৪ঃ একটি চৌকশ গ্রুপ তৈরি করে ফেলুন
চৌকশ গ্রুপ হলো সেই গ্রুপ যেখানে আপনার শুভাকাঙ্খি থাকবে। যারা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করবে, ভালো ভালো উপদেশ দিবে। সাফল্য আনতে গেলে এই পদক্ষেপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমার এই ওয়েব সাইটের আগে আরও একটি ওয়েব সাইট ছিলো। আমি সেটার পিছনে অনেক শ্রম দেই এবং ভালো একটি পজিশনেও নিয়ে যাই কিন্তু কিছু দিন পর আবার সেটা নিচে নেমে যায়। যার কারনে আমি কিছু দিন খুবই চিন্তায় পড়ে যাই এবং সব আশা প্রায় ছেড়েই দেই। কিন্তু সেই সময় আমার বন্ধু এবং আমার বউ আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে আবার উৎসাহ দিয়ে যায়। এবং আমি আবার ঘুরে দাড়াই এবং নতুন সাইটটি আবার ভালো পজিশনে নিয়ে যেগে সফল হই। তো ড্রিম লাইফ বা স্বপ্নের জীবনযাপনের পিছনে মাস্টার মাইন্ড গ্রুপের একটি বড় ভূমিকা থাকে।
তাই আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে সাফল্যের সর্বেোচ্চ চুড়ায় পৌছতে হলে অবশ্যই আপনাকে ১০০ শতাংশ বা আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা প্রয়োগ করতে হবে। যদি আপনি তার একটুও কম দিয়ে চালিয়ে দিতে চান তাহলেই আপনি আপনার স্বপ্নের জীবন থেকে ছিটকে যাবেন।
Thanks For Visit Our Website