চুল পড়ার কারন কি চুল পড়া বন্ধ করুন মাত্র ১৫ দিনে।

চুল পড়ার কারন কি? চুল পড়া বন্ধ করুন মাত্র ১৫ দিনে।

Tips and Tricks

চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুব কমিই দেখা যায়। দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর ধরে অনেকেই এই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। চুল নারী এবং পুরুষ সকলেরই সৌন্দর্যের একটি অংশ। তবে মাথা ভুর্তি ঘন চুল এখন যেন সকলের কাছে শ্বপ্নের মত হয়ে উঠেছে। চুল উঠে যাওয়ার ফলে দুঃশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগেন অনেকে। মাথা থেকে দৈনিকি চুল পড়াটা স্বাভাবিক। তবে সেটা যদি অস্বাভাবিক হাড়ে পরে তবে তা হতে পারে মারাত্মক রোগের লক্ষন ও বটে। বিভিন্ন রকম ব্রান্ডের শ্যাম্পু-তেল ব্যবহারের পরও এই সমস্যা থেকে নিস্তার মিলেনি অনেকেরি। এখন এই সমস্যার মূলে দেখা যায় যে খাদ্য ভেজাল সহ নামি দামি চুলের পন্য ব্যবহার। তবে সঠিক ভাবে যত্ন নিলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া অনেকটাই সম্ভব। 

আপনি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন কিনা বুঝার উপায়:

চুল কেরাটিন নামের এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয় বলে বিবেচিত। ১০০ ভাগ চুলের মধ্যে ৩ ভাগ পানি এবং প্রায় ৯৭ ভাগই প্রোটিন রয়েছে। সাধারনত একটি চুলের গড় আয়ু দুই থেকে আট বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই চুল পড়বে এটাই স্বাভাবিক। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মাথায় এক থেকে দের লক্ষ চুল থাকে। যখন দৈনিক এই চুলের মধ্যে ১০০ কি ১৫০ এর বেশি চুল পরে বলে মনে হয় তাহলে তা আর স্বাভাবিক চুল পড়া বুঝায় না। ঘরের চার পাশে এই চুলের পরিমান অনেক বেশি হয়। 

চুল পড়ার সাধারন কারন:

১) শরীরে পুষ্টিহীনতা থাকলে চুল পড়ে। দীর্ঘ দিন যাবৎ যেকোনো এক পুষ্টি ঘাটতির জন্য চুল পড়তে পারে। খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করা ও ভিটামিনের অভাবের ফলে চুল পড়ে যায়।
২) শরীরে অ্যান্ড্রোজেনিক নামক হরমোনের পরিমান বেশি থাকলে চুল পড়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক ভাবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের শরীরে এই হরমোনের পরিমানবেশি থাকে। নারীদের মেনোপজের পরে এই হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার শরীরে এই হরমোনের প্রভাব বেশি থাকে তার এই সমস্যা বেশি হয়। 
৩) পরিবেশগত কারনেও অনেক সময় চুল পড়তে পারে। অতিরিক্ত ধুলা বালির মধ্যে থাকার কারনেও চুল পড়ে যায়। অনেক সময় আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে চুল পড়া।
৪) খুশকি কিংবা স্ক্যাল্পের কারনে চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। মাথার মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণ হলো চুল পড়ার অন্যতম কারন। তাই স্ক্যাল্প অপরিষ্কার থাকলে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।
৫) ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চুল পড়ে যেতে পারে। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী কেমোথেরাপি নেওয়াার পর চুল পরে যায়। কেমোথেরাপির সর্বশেষ ডোজের তিন থেকে চার মাস পর আবার চুল গজানো শুরু করে।
৬) মানসিক চাপ বা দুঃশ্চিন্তায় থাকলে চুল পড়ে যেতে পারে। যদিও এই সমস্যা সাময়িক সময়ের জন্য। তাড়পড়ও দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম কারন হতে পারে। 
৭) জিনগত কিংবা বংশগত কারনেও চুল পড়ে যেতে পারে। নারী কিংবা পুরুষের বংশগত কোনো টাক হওয়ার সমস্যা থাকলে একটা নির্দিষ্ট বয়স পরে চুল পড়ে যেতে পারে।
৮) শরীরে হরমোনের তারতম্যের জন্য চুল পড়ে যেতে পারে। থাইরোয়েড হরমোনের পরিমান কম বা বেশি হলে কিংবা গর্ভবতী অবস্থায় চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
৯) শরীরে বড় কোনো রোগের লক্ষনও হতে পারে চুল পড়া। যেমন: ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড,অ্যানিমিয়া, জন্ডিস,ডায়াবেটিস ইত্যাদিতে চুল পড়ে যেতে পারে।
১০) অনেক সময় অনেক ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ও চুল পড়ে যেতে পারে। যেমন ডায়াবিটিসের ওষুধ. প্রেসারের ওষুধ, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, হরমোন নিয়ন্ত্রনের ওষুধ ইত্যাদি।

চুল পড়ার সমস্যা প্রতিকারের উপায়:

১) মানসিক চাপ দূর করে যতটা সম্ভব দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকা।
২) প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ভিটামিন-ই জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া।
৩) মাথা এবং চুল যথা সম্ভব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে খুশকি মুক্ত রাখা।
৪) চুলের উপর কোন শ্যাম্পু কাজ করে সেটা না বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার না করা।
৫) ভেজা চুল বাঁধা বা আঁচরানো যাবে না।
৬) অতিরিক্ত মাত্রয় টাইট করে বা টেনে চুল বাঁধা যাবে না।
৭) কোঁকড়া চুল সোজা করার জন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রিক পন্য ব্যবহার না করাই ভালো।
৮) চুলের রং পরিবর্তনের জন্য কলোপ বা রং ব্যবহার করা যাবে না।
৯) প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। 
১০) কোনো ধরনের ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করুন মাত্র ১৫ দিনে:

মাঝে মাঝে এমন হয় যে বিভিন্ন ধররেন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করেও চুল পড়া রোধ করা যায় না। সে ক্ষেত্রে দরকার হয় চুলের জন্য অতিরিক্ত যত্ন। যা কিনা ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। পদ্ধতিগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো:

পদ্ধতি নম্বর ১: প্রথমে একটা পাত্র বা বাটি নিন। তাড়পড় তার মধ্যে ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, নারকেল তেল ১ চা চামচ, ক্যাস্টর অয়েল ১ চা চামচ নিন। এরপর সবগুলো উপকরন ভালো করে মিশিয়ে নিন। তার পর পরাতন তুথব্রাশ দিয়ে সম্পূর্ন মাথা লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে রাতে দিয়ে সারা রাত এটি মাথায় রাখুন এবং সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।

ব্যবহারের উপকারিতা: 

১) উপাদানটিতে তেল থাকার কারনে মাথার ত্বকে থাকা কোষ গুলোকে তেলের ঘাটতি পূরন করে।
২) খুশকি রোধে সাহায্য করে। 
৩) চুল ঘন ও কালো করে।
৪) মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
৫) এই মিশ্রনটি প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে ১৫ দিনের মধ্যে চুল পরা বন্ধ করে এক মাসের মধ্যে চুলের বৃদ্ধি হয় দ্বিগুণ করে।

পদ্ধতি নম্বর ২:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *