ধনী হওয়ার ৬ টি উপায়। 6 Golden Steps to Become Rich

ধনী হওয়ার ৬ টি উপায়। 6 Golden Steps to Become Rich

Lifestyle

আপনি কি এক যায়গায় বসে কখোনো একটা লিস্ট তৈরি করেছেন যে আপনি জীবনে কি কি চান? কেওই মেজিক করে ধনী হয়ে যায় না। কারো কারো ভাগ্য সাথ দেয় ঠিকি কিন্তু সবাইকেই পরিশ্রম করতে হয় সেই যায়গা টা ধরে রাখার জন্য। আজকের দিনে ধনী হতে পারার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর এই সুযোগের পরিমান টা এতই বেশি যে ভাবতেও অবাক লাগে যে কি করে এখনও এত মানুষ গরীব তাকে। কারন প্রতিদিন তাদের গা ঘেসে একটা করে সুযোগ ভেসে যায় ধনী হতে পারার। কিন্তু তারা কখোনো সেটা লক্ষই করে না। তারা শুধু খুজতে থাকে কোথায় গেলে অন্যের গোলামি করে টাকা রোজগার করতে পারবে। আর এই দিকে তারা সেই জিনিস গুলো নিয়ে মজা করে যেই জিনিসগুলো তাদর কে কোটি পতি বানাতে পারে। আর তারপর তারা হাইহুতাস করে যে কেনো তারা ধনী হতে পারছে না। আজকের এই পোস্টটা আমি আপনাদের নিশ্চিত ধনী হওয়ার কিছু টিপ্স বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। 

নম্বর-১:ধনী হওয়ার বিষয়ে আপনার মিথ্যা বিশ্বাস দূর করুন:

বোহু মানুষ ধনী হওয়ার ব্যাপারে নিজের মনের মধ্যে বিভিন্ন ভুল ধারনা পোষন করে। যে কারনেই তারা ধনী হতে পারে না। তারা মনে করে ধনী হওয়ার পর যে জীবন টা ঠিক কেমন হয় তারা তা যানে। কিন্তু আসলে আপনি যত দিন না নিজে ধনী হচ্ছেন তত দিন আপনি এটা কখোনোই যানতে পারবেন না। শুধু মাত্র আপনার কাছে প্রচুর টাকা থাকলেই যে আপনার জীবন টা বদলে যাবে এমন টা নয়। ধনী হওয়ার সাথে সাথে শুধু আপনার জীবনে প্রচুর উপায় চলে আসে। যদি আপনি এটা মনে করেন যে ১০ কোটি টাকা পেলে আপনার জীবনটা পুরো বদলে যাবে তাহলে সেই টাকা টা হাতে পাওয়ার পর আপনি নিশ্চিত হতাস হবেন। ধনী হওয়ার আসল  উত্তেজনা টা অনেক টাকা যোগার করতে পারা না। যদি টাকা আপনাকে উত্তেজনা দেয় তাহলে আপনা এটা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগবে না যে টাকাই সব কিছু না। ধনী হওয়ার আসল উত্তেজনাটা হলো আপনি সারা জীবন যা যা করেতে চেয়েছেন সেগুলো সব করতে পারার অপসোন ধনী হওয়ার সাথে সাথে আপনার খুলে যাবে। ধনী হওয়ার সাথে সাথে যেই জিনিসটা আপনি খুব তারাতারি বুঝতে পারবেন সেটা হলো টাকা ব্যবহার করে আপনি চাইলেই খুব সহজেই একজন মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারবেন। আর এটাই হলো যে ভাবে টাকা আনন্দ কিনে আনতে সাহায্য করে। 

নম্বর-২:কোটি টাকা উপার্জনের উপায় খুজেঁ বের করুন:

আমি কিছু দিন আগে একজন কোটি পতির ব্যপারে একটা তথ্যচিত্র দেখছিলাম। যেটা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। সেই কোটি পতি লোকটা আসলে একজন জেলে। যে স্যামন মাছের ব্যবসাতে একজন দক্ষ ব্যক্তি। এটা জানার পরে আমি বেশ কিছু সময়ের জন্য হতবাগ হয়ে গেলাম। কারন আজকের দিনে আপনি যদি একজন সাধারন লোক কে গিয়ে বলেন যে আপনি যদি কোটি পতি হতে চান তাহলে মাছের ব্যবসা শুরু করুন। সেই লোক টা হয়তো আপনার দিকে তাকিয়ে আপনাকে বদ্ধ উনমাদ ছারা আর কিছুই ভাববে না। আমরা সকলে অভিনব জিনিস টা খুজতে গিয়ে আসল জিনিস টাকে মিস করে যাই। যে কোনো কিছুকেই একটা কোটি টাকার ব্যবসায় পরিনত করা যায়। কিন্তু সমস্যা টা হলো লোকেরা সফল ও হতে চায় আবার এ দিকে সবাই যেটা করে সেটাও করতে চায়। আপনি কখোনই সবাই যেটা করছে সেটা করে সফলতা পাবেন না। কারন সফল হতে পারার জন্য আপনাকে সেটাই দেখতে হবে যেটা আর অন্য কেও দেখতে পারছে না। সেটা করতে হবে যেটা আর অন্য কেও করছে না। তাই নিজের জন্য সেই বিষয় টা খুজে বের করুন আর মন দিয়ে খোজলে এর জন্য আপনাকে খুব বেশি খোজাখুজি ও করতে হবে না। বেশির ভাগ লোক অন্যকে ফলো করে ধনী হয়েছে এগুলো চিন্তা করা বন্ধ করেন। এটা করলে তাদের শুধুই হতাসা হাত নারায়। কারন সব সময় একটা বেটার ওয়ে আপনার জন্য তৈরি হয়েছে। আপনাকে শুধু সেটাকে খুজে বের করতে হবে। 

নম্বর-৩:আপনি কি চান তা খুঁজে বের করুন:

একটা নিশ্চিত রাস্তা রয়েছে যেটা যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আপনি যেটাই চান সেটাই পাবেন। কিন্তু বেসিরভাগ লোক অন্যান্য জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাদের লক্ষের উপর থেকেই চোখ সরিয়ে ফেলে। যদি আপনার কোনো স্বপ্ন না থাকে তাহলো আপনি অন্য কোনো মানুষের স্বপ্ন পূরনের জন্য তার দ্বারা ব্যবহৃত হবেন। আমি আপনাকে চেলেন্জ করছি এরকম সাতটা জিনিস লিখে একটা লিস্ট তৈরি করুন যেটা আপনি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পেতে চান। আপনি এটা দেখে অবাক হবেন যে যেই জিনিস গুলো আপনার লিস্টে থাকবে আপনি যানতেনও না সেগুলো আপনি পেতে চান। যদি কেও ধনী হতে চায় তাহলে তার জন্য এটা জানা মাস্ট যে সে ঠিক কি চায়। কারন আপনার চাহিদা গুলোই আপনাকে এটা যানতে সাহায্য করে যে আপনার স্বপ্নটা ঠিক কত বড় হওয়া উচিত। এর মানে এই না যে আপনি ঠিক কোন ব্যবসাটা শুরু করতে চান। বরং এইটা যানতে হবে যে আপনি এইটা কে ঠিক কত বড় করে তুলতে চান। কারন একটা দোতলা বাড়ির বিট তৈরি করার জন্য যেই গর্ত করবেন একটা দশ তলা বাড়ির বিট তৈরির জন্য নিশ্চই সেই পরিমান গর্ত করবেন না। তাই শুরু থেকেই এইটা যানা ভিশন জরুরি যে আপনি ঠিক কি চান। 

নম্বর-৪:আপনি এটা কেন চান খুঁজে বের করুন?

যদি আপনি বলেন যে আপনি একটা ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা দার করাতে চান তাহলে সেটা আপনাকে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে সেটা আপনি ঠিক কেন চান। আপনি যে নিজের জন্য সঠিক জিনিসটা চাচ্ছেন সেইটা বুঝার একমাএ উপায় হলো এটা যানা যে আপনি সেটা কেন চাচ্ছেন। যদি আপনি একটা জিনিস ভিশন ভাবে চান এবং সেটার পিছনে কারন টা না যেনে হাত ধুয়ে লেগে পরেন তাহলে আপনি দেখবেন হটাৎ আপনি সেটার প্রতি ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলবেন। কিন্তু যদি আপনি যানেন যে সেই লক্ষ্য পূরনের পিছনে আপনার ‍উদ্দেশ্যটা ঠিক কি তাহলে আপনি বিভ্রান্তি হয়ে পরবেন না। আপনার প্রতিটা লক্ষ্য পূরনের পিছনে একটা আবেগ জরিয়ে থাকে। আপনাকে শুধু সেই আবেগটাকে খুঁজে বের করতে হবে। যেটা আপনার লক্ষ্য পূরন করার উদ্দেশ্যকে এক্সাইটিং করে তোলে। যাতে আপনার মাথায় সেই জিনিসটা সবসময় থাকে যে আপনি ঠিক কেন সেই লক্ষ্যটা পূরন করতে চান। 

নম্বর-৫:আপনি কখন এটি চান তা নির্ধারণ করুন :

একটা লক্ষ্য যার নির্দিষ্ট কোন তারিখ নেই সেইটা শুধু মাত্র একটা ইচ্ছা। আপনার প্রতিটা লক্ষ্য পূরনের জন্য একটা করে সময় নির্ধারন করুন। তা না হলে আপনি সেই সাধারন মানুষগুলো থেকে কিছুই আলাদা হবেন না যারা শুধু মাত্র টাকা রোজগারের ইচ্ছা রাখে। ইচ্ছা কোন কাজের নয়। কোন একটা লক্ষ্য একটা নির্দিষ্ট তারিখের সঙে ঠিক করলে তবেই সেটা কাজের হয়ে উঠে। আপনি কিভাবে আপনার লক্ষ্য পূরন করবেন সেটা এই মূহুর্তে ভাবার বিষয় নয়। আপনি আগে একটা সময় ঠিক করুন যাতে আপনার মনের ভিতর এটা পরিষ্কার হয় যে আপনি কবের ভিতর সেই লক্ষ্যটা পুরন করবেন। এই তারিখটা আপনাকে প্রতি মুহুর্তে মনে করাবে যে আপনি ঠিক কোথায় ঠিক কত সময়ের মধ্যে পৌছাতে চান। 

নম্বর-৬:কিভাবে এটি পেতে হবে একটি ধারণা খুঁজে বের করুন:

আপনার কাছে এই মূহুর্তে যেই ছোট বুদ্ধিটা রয়েছে সেটা দিয়েই শুরু করুন। আপনি যেটুকু জানেন সেটুকুর উপরেই ফোকাস করুন। যত আপনি এগোতে থাকবেন তত আপনি পথ খুজে পাবেন। নিজের সেই বড় স্বপ্নটার সঙে সংযুক্ত হওয়ার। যদি আপনি একটা ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা দার করাতে চান তাহলে আপনার কাছে যেই ৫ হাজার টাকার ব্যবসা দার করানোর যেই আইডিয়া টা আছে সেটা কে অবহেলা করা বন্ধ করুন। কারন যদি আপনি ৫ হাজার টাকার বুদ্ধিকে অবহেলা করে ৫০০ কোটি টাকার বুদ্ধিকে খুঁজে বেড়ান তাহলে আপনি সেটা কোন দিনও খুঁজে পাবেন না। আপনার কাছে এই মূহুর্তে যেটুকু আছে সেটুকু দিয়েই আপনাকে শুরু করতে হবে। 

আপনি অবশ্যই সফলতা পাবেন যদি আপনি আপনার লক্ষ্যটা কে স্থির রাখতে পারেন এবং সেটাতে নিজের আবেগ জড়িত রাখতে পারেন। যখন আপনি কোটি টাকা রোজগার করবেন তখন আপনি দেখবেন যে  যেই ব্যবসাটা আপনাকে কোটি টাকা রোজগার করে এনে দিচ্ছে সেটা বহু আগের থেকেই আপনার চোখের সামনে ছিল। কিন্তু কোনো কারনে এটা আপনি এভাবে লক্ষ করেন নি। যেটাকে এখন সে ভাবে উপলবদ্ধি করতে পারছেন। কোটি টাকা রোজগার করার পদ্ধতি টা আপনি কখোনো কারো আলোচনার মধ্যে খুজে পাবেন না। কারন আপনার কোটি টাকা রোজগার করার পদ্ধতিটা অন্য যেকোনো কারো থেকে আলাদা হতে চলেছে। কখোনো সেটা করার চেষ্টা করবেন না যেটা অন্য কেও করছে শুধু মাত্র এই লোভে যে তারা যেই কাজটা করে অর্থ ও সফলতা অর্জন করেছে সেটা আপনার ও চাই। আপনাকে যেই স্বপ্ন তারিয়ে বেড়ায় সেটা পাওয়ার লক্ষ্য স্থির করুন। এই ৬ টি স্টেপ ফলো করুন আপনিও ধনী ও সফল হয়ে উঠবেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *