আজ যাদের অবদানের জন্য পৃথীবি এত সুন্দর এবং এত মনোহর তারা হলেন জ্ঞানী জ্ঞুনী মানুষ। যাদেরকে বলা হয় বুদ্ধিমান। কেউ জন্ম থেকেই বুদ্ধিমান হয় না। বুদ্ধিমান হতে হলে অনেক বেশি সিখতে হয় বা জানতে হয়। অনেক বেশি অধ্যায়ন করতে হয়। কিন্তু আপনি যে বুদ্ধিমান তা কি করে বুঝবেন। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেসন থেকে কিছু সাধারন লক্ষন থেকে এটা খুব সহজেই বুঝা যায়। যা প্রায় সকল বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের মধ্যে পাওয়া যায়। বুদ্ধিমান বলতে শুধু যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করাকে বুঝায় তা নয় বরং বুদ্ধিমান বলতে এমন এক জ্ঞান কে বুঝায় যা হয়ত আপনি কেনো দিন আপনি আন্দাজ ও করতে পারেননি। আপনি আপনার নিজের ভিতরে একটু উকি মেরে দেখুন যে নিচের এই সুপার হউমেন কে খুজে পান কি না। নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করবেন তখন যখন আপনার মধ্যে নিচের এই পাচঁটি লক্ষন দেখবেন যখন –
বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের লক্ষণ-১:আপনি নিজেকে খুব বুদ্ধিমান মনে করবেন না:
অনেক সময় পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আমরা ভাবি পরীক্ষাটা খুব ভালো দিয়েছি। কিন্তু যখন রেজাল্ট বের হয় তখন দেখা যায় অনেক সময় র্মাকস ভিসন খারাপ আসে। আপনি হয়তো এই জিনিস টা লক্ষ করে থাকবেন যারা ক্লাসে প্রথম হয় তারা পরীক্ষা দেওয়ার পর কত র্মাকস পেতে পারে সেটা সব সময় অবমূল্যায়ন করে থাকে। সেখানে কিছু লোক এরকম ও থাকে যারা কিছুই পারে না কিন্তু লোককে এমন একটা ভাব দেখায় যেন সব কিছু পেরেছে। তারা ভাবে লোকে এতে তাদের কে বেশি র্স্মাট বলে মনে করে। কিন্তু বাস্তবে যারা মানুষকে দেখিয়ে বেরায় না তারাই বেশি বুদ্ধিমান হয়। যারা নিজেদের বুদ্ধিশক্তি কে যত বেশি অতিরিক্ত অনুমান করে তারা আসলে তত কম বুদ্ধিমান হয়। আর যারা নিজেদের বুদ্ধিকে যত কম অনুমান করে তারা আসলে তত বেশি বুদ্ধিমান হয়।
বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের লক্ষণ-২:আপনি কৌতূহলি:
আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন আমার মধ্যে কোনো বিশেষ দক্ষতা নেই আমি শুধু মাত্র ভিষন ভাবে কৌতুহলি। যে সমস্ত বাচ্চারা ছোট বেলায় আই কিউ তে হাইস্ট র্মাক করে তারা বড় হলেও ভিষন ভাবে কৌতুহলি এবং নতুন নতুন আইডিয়ার প্রতি খোলা মনের হয়ে থাকে। যদি আপনি নতুন নতুন কলাকৌশল নতুন নতুন মজার উপায়ের মধ্যে দিয়ে শিখতে ভালোবাসেন তবে সেটা আপনার একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি হওয়ার লক্ষন। তার একটি উধাহারন হলো যদি ধরুন আপনি ইংরেজি বলার দক্ষতাটা আরও উন্নতি করতে চান তবে তার জন্য একটি মজার উপায় হতে পারে একটি ইংরেজি শেখার ডিকশোনারি এপ্স।
একজন ব্যক্তি যদি কোনো কিছু শিখতে গিয়ে বাধার সম্মোখিন হন তাহলে তিনি খুব তারাতারি সেটা পরিত্যাগ করে। কিন্তু একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি সেই জিনিসটা শেখার বা জানার জন্য সহজ এবং মজার ভাবে শেখার কৌতুহলি হয়ে পরে। কৌতুহল ছারা হয়ত লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মত মানুষটিরও কোনো অস্তিত্ব থাকত না। যিনি পাখিদের উরতে দেখে উরো জাহাজ বানানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন। কৌতুহল হলো বুদ্ধিমানের প্রধান লক্ষন। কারন মানুষ কৌতুহল না হলে মানব সভ্যতা কখোনো এত দ্রুত এত উন্নতি করতে পারত না।
বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের লক্ষণ-৩:আপনি সৃজনশীল:
আলবার্ট আইনস্টাইন এর বিখ্যাত চিন্তার পরীক্ষা টি তাকে তার বিখ্যাত আপেক্ষিকবাদ আবিষ্কার করতে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিল। আইনস্টাইন এটা কল্পনা করেছিলেন যে তিনি যদি একটা আলোর কনার উপর চরে বসে ঘুরে বেরাতে পারতেন তাহলে ঠিক কেমন হতো।আর সেখান থেকেই তিনি আলো এবং সময়ের বোহু রহস্য উদঘাটনে সফল হয়েছিলেন। এরকম দক্ষতা অন্যান্য আরও অনেক বিজ্ঞানীিদের মধ্যেও ছিল। তবে আইনস্টাইন এর মধ্যে আলাদা যেই জিনিস টা ছিল সেটা হলো তার অভাবনীয় কল্পনা শক্তি। যেটা তাকে এই ব্রেকথ্রো তে সাহায্য করেছিল। আর হয়ত সেই কারনেই স্যার আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন কল্পনা শক্তি জ্ঞানের থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন।
সৃজনশীলতাকে বুদ্ধিমত্যার সর্বোচ্চ মাধ্যম বলে মানা হয়। কারন এটা শুধু জ্ঞান আহরন নয় বরং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা অব্দি এগিয়ে নিয়ে যায়। কেউ হয়ত প্রচুর জ্ঞান অহরন করে ফেলেছেন এবং দরকার মত সেগুলোকে প্রত্যাহারও করতে পারেন। কিন্তু নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়। নতুন কিছূ আবিষ্কার করতে হলেে এর থেকেও উপরের এক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। যেটাকে বুদ্ধিমত্যার একটা নোবেল ফর্ম বলে ধরা হয়। আর সেই দক্ষতাটা হলো সৃজনশীলতা।
বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের লক্ষণ-৪:আপনি সংবেদনশীল:
ভাবুন একটা সুপার কম্পিউটার রয়েছে যার কয়েক লক্ষ ইনপুট চ্যানেল রয়েছে। তো এত লক্ষ লক্ষ ইনপুট চ্যানেল থেকে প্রতি মূহুর্তে যেই ডেটা কালেক্ট হচ্ছে সেটা যথাযথ ভাবে সামলানোর জন্য একটা ভিষনই ক্ষমতাশীল প্রসেসর থাকা দরকার। ঠিক একই জিনিসটা আপনার ব্রেনেও হচ্ছে। আর এই সুপার কম্পিউটার টা হলেন আপনি। প্রতি সেকেন্ডে কয়েক লক্ষ ডেটা আপনার মধ্যে আপলোড হয়। আপনার পাঁচটি ইন্দ্রিয় প্রতি মূহুর্তে আপনার আসে পাশে কি কি চলছে সেই সব কিছু নোটিস করতে থাকে। আর সেই খান থেকেই তাপমাত্রা,জ্বর,ঠান্ডা,ব্যাথা.ব্যলেন্স,এনার্জি লেবেল এরকম অসংখ্য জিনিসের ব্যপারে আপনি জানতে পারেন।
যদি আপনি সেই সমস্ত জিনিসগুলোকে লক্ষ করতে পারেন যেগুলা অন্যরা সাধারনত মিস করে যায় সেইগুলো লক্ষ রাখাটা আপনার বুদ্ধিমত্যার একটা বড় দিক। এছারা যদি আপনার সামনের জন কি ভাবছে বা কেমন অনুভব করছে সেটা সামনের জন মুখে না বলেও সেটা বেশিরভাগ সময় আন্দাজ করতে পারেন তবে সেটাও একটা বড় বুদ্ধিমান ব্যক্তি হওয়ার লক্ষন। যদি আপনি একজন ভিষন বুদ্ধিমান ব্যক্তি হন তবে স্বাভাবিক অন্যদের তুলনায় আপনাকে প্রতি মূহুর্তে অনেক বেশি খবর প্রসেস করতে হয়। আর তার জন্য আপনার একটা উপরের লেবেলের বুদ্ধিমত্যা থাকাটা আবশ্যক।
বুদ্ধিমান ব্যাক্তিদের লক্ষণ-৫:আপনি মজার:
আপনি কি নিজেকে বেশ মজার মানুষ বলে মনে করেন? যদি আপনার উত্তর হয় হ্যা তাহলে মজার বিষয় হলো তাহলে হয়তো আপনি একজন মজার মানুষ না। কিন্তু যদি আপনার উত্তর হয় না তাহলে তো সত্যিই আপনি একজন মজার মানুষ। রসিকতাবোধ আমাদের বুদ্ধিমত্যা আর মানসিক সুস্থতার পরিচয় দেয়। ১৯৭০ সালে ৫৫ জন পুরুষ এবং ১৪ জন মহিলা কমিডিয়ান দের নিয়ে একটা পরীক্ষা করা হয়েছিলো এবং তাদের সবাইকে বিভিন্ন ভাবে সর্বোচ্চ র্মাকস করতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে সাধারন আই কিউ ৯০ থেকে ১১০ এর মধ্যে থাকে সেখানে সেই পুরুষ কমিডিয়ানদের আই কিউ র্মাকস ছিল ১৩৮ এবং মহিলা কমিডিয়ানদের এভারেজ আইকিউ মার্কস ছিল ১২৬। তাই লাইফে যত বেশি মজার হতে পারবেন তত বেশি বুদ্ধির বিকাস হবে।