দেশে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ব। পূরন হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বৈদেশিক মুদ্রার বেধে দেওয়া শর্ত। মূলত রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। প্রবাসী আয়ের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সস্থি ফিরেছে বৈদেশিক বানিজ্যের বলছেন বিশ্লেষকরা।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম বড় উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স। হিসেব বলছে সদ্য পাঠানো আগষ্ট ২০২৪ ইং এ পাঠানো প্রবাসী আয়ের পরিমান ২২২ কোটি ডলার। আগের মাস জুলাই ২০২৪ এর ছিল ১৯১ কোটি ডলার। জুলাই এর তুলনায় আগষ্টে বেড়েছে প্রায় ৩১ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছরের আয় বেশি প্রায় ৩৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী আগষ্ট মাসে রাষ্ট্রায়ত্ব ৬টি ব্যাংক থেকে এসেছে ৩৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। ৭ কোটি ডলার এসেছে দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক থেকে। বেসরকারি ৪৩ টি ব্যাংক থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ১৭৫ কোটি ডলার। বাকী ৪৭ লক্ষ ৬০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংক গুলোর মাধ্যমে।
রেমিট্যান্সের এমন উর্ধ্বগতি বাড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। বাংলাদেশ ব্যাংক এর তথ্য অনুযায়ী গ্রোস রিজার্ভ পৌছেছে ২৬০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। আর আইএমএফ বিপিএন সিক্স এর পদ্ধতি অনুযায়ী ২০৬০ কোটি ডলার। সেখান থেকে ধারে দেওয়া ডলার বাদ দিয়ে ব্যবহার যোগ্য ডলারের পরিমান এখন ১৫০০ কোটি ডলার এর কাছাকাছি। যদিও সেপ্টেম্বরে আইএমএফ এর শর্ত অনুযায়ী ব্যবহার যোগ্য ডলার রাখার কথা ছিল ১ হাজার ৪ শত ৭৮ কোটি ডলার।