নিজেকে সব সময় অনুপ্রাণিত রাখুন How to Motivate Myself All time

নিজেকে সব সময় অনুপ্রাণিত রাখুন | How to Motivate Myself All time

Lifestyle

হয়তো আমাদের কোনো একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতে মনে হলো যে কাল থেকে আমি রোজ সকালে ঘুম থেকে ‍উঠে হাটতে যাবো। এরপর হয়তো এক দিন দুই দিন চলেই গেলেন কিন্তু তিন দিনের দিন আর বিছানার মায়া ছেড়ে আর সকালে উঠতে পারলেন না। তো এই রোগের ঔষধ কি? সেটা নিয়েই আজকে আলোচনা করবো তো চলুন শুরু করা যাক-

অনুপ্রাণিত থাকার ধাপ-১:

Use the Ulysses pact technique: HOMER OF ODYSSEY তে নায়ক ইউলিসেস এবং তার সাথীরা জাহাযে করে তাদের যাত্রা পথে  এক মায়াবি যায়গা দিয়ে পার হয়ে বেরোতে পারার চেলেন্জের মুখোমুখি এসে পরে। সেখানে সুন্দরি মহিলারা এমন মায়াবি গান গায় যে তাদের কন্ঠস্বর শুনে যে কোনো পুরুষ এতটাই মুগ্ধ হয়ে যায় যে তারা যুক্তিযুক্ত আচরন করা বন্ধ করে দিয়ে বসে বসে তাদের গান শুনা ছারা আর কিছুই করতে পারে না এবং শেষ র্পযন্ত মারা যায়। ইউলেসেস এতে করে যে দন্দের মুখোমুখি হয় তাহলে তিনি মরিয়া ভাবে সেই গানের মোধুরাটা অনুভব করতে চান তবে সেই সুন্দরি মহিলাদের মুগ্ধতাও এরাতে চান। সৌভাগ্যবসত সেই সময় জাদুকরি র্সাচ তাকে এক অতি উত্তম পরামর্শ দেন। জাদুকরি র্সাচ ইউলিসেসকে বলেন শুধু তাকে বাদ দিয়ে জাহাযে উপস্থিত সমস্ত সাথীদের প্রত্যেকের কান মোমের প্লাগ দিয়ে বন্ধ করে দিতে এবং তার সাথীদের বলতে তারা যেন ইউলিসেস কে তার জাহাযের মাস্তুলের সাথে বেধে রেখে দেয়। তারা যেন সেই মায়াবি জায়গা অতিক্রম করার পরই যেন তার সাথীরা তাকে ছেরে দেয়। মোমের ইয়ার প্লাগের কারনে তার সাথীরা কউই সেই সুন্দরি মহিলাদের মন্ত্র মুগ্ধ গান শুনতে পায় না। যার ফলে তারা সফলভাবে সেই মন্ত্রমুগ্ধ জায়গা অতিক্রম করতে পারে এবং যেহেতু ইউলিসেস তার জাহাযের মাস্তুলের সাথে বাধা ছিল ইউলিসেস এমন কিছু করতে সফল হয় যা তার আগে কোনো মানুষ কোনো দিন করতে পারেনি। সুন্দরি সেই মহিলাদের মায়াবি মন্ত্রমুগ্ধ গান শুনার পরেও সেই গল্প বলার জন্য বেচে থাকতে পারা। ঠিক একি ভাবে আমি আপনাকে বলছি যে এখনি আপনি আপনার ব্যাংকের চেক বইটা নিয়ে হাজার টাকা করে দশটা চেক লিখে তাতে সাইন করে আপনার কোনো বন্ধু বা বিস্বস্ত সাথীকে দিয়ে দিন এবং তাকে বলুন কাল থেকে শুরু করে যদি কোনোদিন আপনি সকালে উঠে হাটতে যাওয়া বা অন্য যে কোনো কাজ যেটার আপনি অভ্যাস গড়ে তুলার চেষ্টা করছেন সেটা যদি না পারেন বা মিস করে যান তাহলে সেদিন সেদিন সেখান থেকে একটা একটা করে চেক ভাঙিয়ে হাজার টাকা করে তুলে নিয়ে নিজের মনে যা চায় তার পেছনে সেই হাজার টাকা খরচ করে ফেলতে পারে। এতে করে দেখবেন আর একদিনও আপনি সেই কাজটা মিস করবেন না।

অনুপ্রাণিত থাকার ধাপ-২:

Use the Chunking technique:ধোরুন আপনাকে পাঁচ দিন পর একটা প্রজেক্ট বানিয়ে সাবমিট করতে হবে।এই প্রথমে খাতা কিনে আন,পরে দাগ টানো,এরপর সূচিপত্র বানাও,খাতার উপরে ডিজিইন কর,তারপর কি কি লিখতে হবে সেগুলো যোগার কর উফফ এত কিছু কিভাবে করব? এভাবে আপনি যদি সবগুলো কাজকে এক সাথে দেখেন তাহলে প্রজেক্ট টা শুরু করারি হয়তো আপনি মটিভেশন যোগার করে উঠতে পারবেন না। শেষ করা তো দূরে থাক। তো এরকম ক্ষেত্রে আপনি chunking technique ব্যবহার করে সবার প্রথমে কোথাও একটা লিখে সমস্তকাজগুলোকে ৫দিনে সমান ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন। For example:

Day-1:খাতা কিনে আনা আর উপরের ডিজাইন টা করা।

Day-2:সূচিপত্র বানানো আর দাগ টেনে ফেলা ।

Day-3:কি কি লিখতে হবে সব যোগার করা।

Day-4:অর্ধেকটা লিখে ফেলা।

Day-5:বাকিটা লিখে একবার চেক করে সাবমিট করে দেওয়া। 

এবার দেখুন কতটা সহজ লাগছে। যত সহজ করে নিতে পারবেন তত মটিভেশন ধরে রাখতে পারা সহজ হয়ে যাবে।

অনুপ্রাণিত থাকার ধাপ-৩:

Use the Ritual technique:আচ্ছা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর দাঁত ব্রাস করার জন্য কি আপনার কোনো দিন মটিভেশনের দরকার পরে? পরে না। কেন বোলুন তো? কারন সেই ছোট বেলা থেকে রোজ ঠিকি একি সময়ে একি কাজ করতে করতে সেটা আপনার একটা অভ্যাস বা রিচুয়ালে দারিয়ে গেছে। এবার যদি আপনাকে রোজ সকালে উঠে ভাবতে বসতে হয় যে আপনি কখন জিম এ যাবেন তাহলে সেই ডিসিসন টা নিতে গিয়ে আপনার এতটা উইল পাওয়ার খরচ হয়ে যাবে যে আপনার জিমে যাওয়ার মটিভেশন টুকু আর বেচে থাকবে না। কিন্তু যদি আপনি জিমে যাওয়াটা ঠিক দাঁত মাজার মত কোনো একটা ডেইলি রিচুয়াল বা অভ্যেস বানিয়ে নিতে পারেন for example সন্ধায় অফিস বা কলেজ থেকে বাড়ি ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে সোজা জিমে চলে যাওয়া। তাহলে এই ভাবে কয়েকদিন কানটেনিউ করার পর আর আপনার মটিভেশনের দরকার পরবে না। 

অনুপ্রাণিত থাকার ধাপ-৪:

Use the Goldilocks Rule technique: ভাবুন আপনি বেডমিন্টন খেলছেন। আপনি যদি চার বছরের কোনো এক বাচ্চার সাথে খুব সিরিয়সি একটি মেস খেলার চেষ্টা করেন তবে আপনি খুব তাড়াতাড়ি বোরিং অনুভব করতে শুরু করবেন। কারন মেসটা আপনার জন্য খুব সহজ। অন্যদিকে ভাবুন আপনি সায়না বা সিন্ডুর মত একজন পেশাদার বেডমিন্টন খেলয়ারের বিরুদ্ধে খুব সিরিয়াস ভাবে একটা মেস খেলার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি নিজেকে একটা ভিন্ন কারনে হতাশ দেখতে পাবেন। কারন মেসটা আপনার জন্য খুব কঠিন। কিন্তু এবার ভাবুন আপনি আপনার সমান এমন কারো বিরুদ্ধে খুব সিরিয়াস ভাবে একটা মেস খেলছেন। আপনি কয়েকটা পয়েন্ট জিতছেন তো আবার কয়েকটা পয়েন্ট হারাচ্ছেন। আপনার মেস যেতার সুযোগ আছে তবে আপনি যদি সত্যিই চেষ্টা করেন তবেই একমাত্র আপনি জিততে পারেন। এরকম ক্ষেত্রে সমস্ত যায়গা থেকে আপনার মনোযোগ সরে গিয়ে পুরোপুরি সেই মেসটার উপর চলে আসবে। কারন আপনি জানেন আপনি আপনার সব টা দিতে পারলে নিশ্চই জিততে পারবেন। বিঙানের মতে এই ধরনের কাজেই এক মাত্র আমরা আমাদের মটিভেশন ধরে রাখতে পারি। আমরা মানুষরা চেলেন্জ ফেস করতে ভিশন পছন্দ করি। যদি সেটা আমাদের আওতার মধ্যে হয়। যদি সেটা একেবারেই সহজ হয় তাহলে আমরা বোরিং ফিল করি আর যদি সেটা ভিশনি কঠিন হয় অর্থাৎ আমাদের আওতার বাইরে হয় তাহলে আমরা হতাশ অনুভব করি। কিন্তু যে কাজ গুলো আমাদের আওতার মধ্যে থাকে সেগুলো আমাদের মস্তিষ্ককে দূরদান্ত ভাবে মোটিভেট করে। এই নিয়ম টাকে বিঙানের ভাষায় বলা হয় the Goldilocks Rule.যদি আপনি কোনো কাজের জন্য মটিভেশনের ঘাটতি অনুভব করেন তাহলে একবার ভেবে দেখুন সেই কাজটা আপনার জন্য সহজ নাকি কঠিন। যদি তাই হয় তাহলে উপায় খুজে বার করুন যাতে করে সেটা আপনি ঠিক আপনার আওতায় আনতে পারেন। তাহলেই আপনি আর কোনো মটিভেশনের ঘাটতি অনুভব করবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *