অনেক সময় কি হয় অচেনা কারোর সাথে কথা বলতে শুরু করলেও ওই হায় হেলো বা একটা দুইটা কথা বলার পরি আমাদের মাথা পুরো নষ্ট হয়ে যায়। আর কি বলা যায় কিছুই মাতায় আসে না। ফলে একটা চুপ থাকার মত খারাপ সময় পার করতে হয়। কিন্তু আজকের এই কন্টেন্ট টা পড়ার পর আপনাকে আর কোখনোই এইটা নিয়ে ভাবতে হবে না যে কোনো অচেনা মানুষের সাথে কিভাবে কথা বলতে শুরু করবেন আর কি বেপারেই বা তার সাথে কথা বলবেন। আজকে আমি আপনাকে বলবো কিভাবে খুব চালাকির সাথে অচেনা কারো সাথে কথা চালিয়ে যেতে পারবেন। তাই যদি আপনি আপনার কথা বলার ধরনটা কে আরও উন্নত করতে চান এবং কিভাবে অচেনা কারো সাথে কথা বলবেন তা যানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমার কন্টেন্ট এর পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পরতে হবে।
কথা বলার সময় তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন
অচেনা কারোর সাথে কথা বলতে শুরু করার আগে সব থেকে বড় যেই বাধাটা আসে যে আমরা কানফিউস্ড থাকি যে সামনের জন আদো আমাদের সাথে কথা বলতে ইন্টেরেস্ট কিনা? কিছু বললে আবার বাজে ভাবে নিবে না তো? এই প্রথম বাধাটা অতিক্রম করতে আপনাকে সাহায্য করবে আইকন টেক। সামনের অচেনা মানুষটির সাথে কোনো কথা শুরু করার আগে তার দিকে দুই তিন সেকেন্ডের জন্য তাকিয়ে থাকুন। যদি সেও আপনার দিকে তাকিয়ে এক দুই সেকেন্ড পর চোখ সরায় তাহলে সেটা ইঙ্গিত করে সামনের জন আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক। আর যদি সে আপনি তাকিয়ে আছেন দেখে বিরক্ত বোধ করে সাথে সাথে চোখ ঘুরিয়ে নেয় তাহলে সেটা ইঙ্গিত করে সে আপনার সাথে কথা বলায় একদমি ইনটারেস্ট না। তো তাকে ছারুন অন্য কা্উকে ট্রায় করুন কথা বলার জন্য।
কথা বলার সময় তার শারীরিক দৃষ্টি ভঙ্গি বুঝতে শিখুন
এবার লক্ষ্য করুন তার শারীরিক দৃষ্টি ভঙ্গির উপর। যদি কেউ হাত পা গুছিয়ে বসে থাকে বা মোবাইল ফোনে মুখ গুজে বসে থাকে বা কানে হেডফোন লাগিয়ে বসে থাকে তবে এটা ইঙ্গিত করে তিনি কথা বলায় আগ্রহী নন। কিন্তু সেই ব্যক্তিটি যদি সাধারন ভাবে বসে থাকে এবং এদিক ওদিক তাকাতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে তিনি কথা বলায় আগ্রহী। তিনি বরং বোর হচ্ছে এবং তার সাথে কেউ কথা বলতে তিনি খুশিই হবেন।
পরিস্থিতি বুঝে সেই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন
আই কন্ট্রাক বা চোখে চোখ রেখে এবং শারীরিক দৃষ্টি ভঙ্গি মিলিয়ে যখন আপনি বুঝতে পারলেন যে আপনার সামনের ব্যক্তির সাথে কথা বললে বরং তিনি খুশিই হবেন তখন আপনি ছোট্ট একটি মুচকি হাসি দিয়ে সেই মুহুর্তে আপনারা দুজন যেভাবে রয়েছেন সেই বিষয়ে একটি মন্তব্য করে চাইলে আপনার কথা বলতে পারেন।
উদাহরণঃ
“ধরুন আপনারা বাস স্টান্ডে বসে বা দাড়িয়ে আছেন তো আপনি তাকে বলতে পারেন আজ আর মনে হয় বাস আসবে না। উফ যা গরম পড়ছে আর বেশি দিন বাঁচবো না মনে হচ্ছে।”
তো আপনি যদি আপনার প্রথম কথার মাধ্যমে তাকে একটু হাসিয়ে তুলতে পারেন তাহলে সে আপনার সাথে একটু সাভাবিক এবং বন্ধুত্ব ভাব অনুভব করতে শুরু করবে। ফলে কথা বার্তা চালিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটা সহজ হয়ে উঠবে। প্রথম কথায় কখনও গবীর বা চিন্তাশীল কোন প্রশ্ন করবেন না। যেমন: ধরুন আপনার মাসিক আয় কত? জীবনের মানে টা কি বলুন তো? এগুলো দিয়ে কখনই কারো সাথে প্রথমে কথা বলা উচিৎ না। এতে আপনাকে একটু কঠিন বা পাগল মনে করে সে একটু অন্যমনস্ক হয়ে যেতে পারে এবং আপনার সাথে বন্ধুত্ত্বপূর্ণ ভাবে কথাও বলতে চাইবে না। তাই চেষ্টা করুন তৎখনাৎ বিষয়ে কিছু কথা বলা।
আপনার ব্যাপারে কিছু বলে তারপর কথা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া
আপনার নিজের ব্যাপারে কোনো কথা বলা। যেমন ধরুন- বাস স্টান্ডের কথাই। আপনি বলতে পারেন যে আজ আমার ১০ টার সময় অফিসে পৌছানো খুবই জরুরী। কে যানে কখন বাস আসবে। কিন্তু আপনি এটা না করে যদি আপনি জিঙ্গেস করেন যে- আপনার নাম কি? আপনার বাসা কোথায়? আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তাহলে হয়তো সে আপনার সাথে কথা বলতে একটুও রাজি বা বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব সরিয়ে নিতে পারেন।
তো আপনি যদি এই বিষয় গুলো অনুসরণ করে কথা বলেন এবং তারপরও যদি সে আপনার কথা শুনে হ্যাঁ, হুমম, ওহহহ এমন করে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার তার আই কন্ট্রাক, শারীরিক দৃষ্টিভঙ্গি বা উপরের কোনো একটি ধাপ আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে। তখন বুঝতে হবে সামনের লোক আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী নন। তো যে আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী নন শুধু শুধু তাকে খুচিয়ে আর লাভ নেই। তখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে যে হালকা করে চুপ হয়ে যাওয়া।
কিন্তু যদি সামনের জন আপনার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হয় আর জিঙ্গেস করে আপনার বাস কোথায়? হ্যাঁ আজকে বাসটা আসতে সত্যিই বেশি দেড়ি করছে। তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি যার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন সেও আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে এবং আপনি তার সাথে কথা বলতে সক্ষম। ফলে এবার আপনি চাইলে আপনার কথা বার্তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। যখন আপনি শিওর হয়ে গেলেন তার সাথে আপনার একটি কানেকশন তৈরি হয়ে গেছে তখন চাইলে আপনি আপনার সামনের জনকে কিছু সাভাবিক প্রশ্ন করা। স্বাভাবিক প্রশ্নটা এমন হবে যে যার এক কথায় উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না।
এবার প্রশ্ন হলো কি বিষয়ে এই স্বাভাবিক প্রশ্ন করবেন?
এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হলো প্রোশংসা করে যদি আপনি কোনো কথা বলতে পারেন। হয়তো আপনি লক্ষ করলেন সামনের জন একটি টি-র্সাট পরে রয়েছে । আপনি তার টি-র্সাট এর প্রোশংসা করতে পারেন যেমন বলতে পারেন নাইছ টি-র্সাট। এই বিষয়ে একটা জিনিস মাথায় রাখা ভিশন জরুরি স্বাভাবিক প্রশ্নটা যেন সামনের জনের কোনো অঙ্গ প্রতঙ্গের বিষয় না হয়। আপনার ফিগার টা খুব সুন্দর। আপনার হাসিটা খুব মিষ্টিতো। এগুলো এড়িয়ে চলাই বেটার। কারন সে ক্ষেত্রে ইশারাটা একটু অন্যদিক চলে যায়। আপনি সাদা মনে কাদা না রেখে বলেলও সামনের জন সেটা অন্য দিক নিতে পারে। তো সবসময় চেষ্টা করবেন স্বাভাবিক প্রশ্নটা যেন কোনো জিনিসের ব্যপারে হয়। যেমন টি-র্সাট,ঘড়ি বা বেগ এ জাতীয় কিছু হয়। প্রোশংসা পেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। আপনার কাছ থেকে এমন স্বাভাবিক প্রশ্ন পেলে সামনের জন আপনের সাথে কথা বলে আরও মজা পাবে। ধরুন আপনি স্বাভাবিক প্রশ্ন করার মত কিছু খুজে পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি কোনো একটা কিছুর বিষয়ে এডভাইস চাইতে পারেন। কেউ এডভাইস চাইলে স্বাভাবিক সবারি বেস ভালোই লাগে।এডভাইস হিসেবে আপনি কোনো ঠিকানা জিঙ্গাসা করতে পারেন। আসে পাসে খাবারের ভালো কোনো দোকান আছে কি না?আর এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার সামনের জনের সাথে আলাপ চারিতা করতে পারেন।
জীবনে চলতে গেলে আমাদের কে অনেকগুলো মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু আমরা জড়তার কারনে পারিনা অপরিচিতদের সাথে কথা বলতে। তাই আপনি যদি অপরিচিত কোনো এক জনের সাথে কথা বলতে জড়তা বোধ করেন তাহলে উপরের নির্দেশনা গুলো মেনে চলুন। আর এমন ভাবে কথা বলুন যেন সে আপনার কথায় বিরক্ত বোধ না করে আপনার সাথে খুব সহজেই বন্ধুত্ব র্পূন ভাবে কথা বলতে পারে।