৩টি ধাপ জমে থাকা সব পড়া শেষ করার Study Tips

৩টি ধাপ জমে থাকা সব পড়া শেষ করার | Study Tips

Education

একবার কি হলো সারা বছর শরীরে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পর যখন পরীক্ষার শুরু হওয়ার মাত্র ৭ দিন পূর্বে বুদ্ধরামের হুশ ফিরলো। যে ওর তো কিছুই পড়া হয় নি। এই হিমালয়ের মতো এতো বড় সিলেবাস মাত্র ৭ দিনে কিভাবে শেষ হবে এই দুঃচিন্তা করে করেই বাকী ৭টা দিন না পড়েই শেষ করে ফেললো। আর পরীক্ষার দিন নাকের জলে আর চোখের জলে একাকার করে বুন্ধরামের সে কি অবস্থা।

বুদ্ধরামের মতো যদি তুমিও একই পথে এগুচ্ছো বা ইতো মধ্যে পৌছে গেছো তাহলে আজকের এই পোষ্টটা তোমার জন্য লাইফ সেভিং পোষ্ট হতে চলেছে। কারন তোমারও যদি পরীক্ষা দরজায় এসে কড়া নাড়ছে অর্থাৎ খুব কম সময়ের মধ্যে হিমালয়ের মতো এই বিশাল সিলেবাস শেষ করতে হবে তাহলে দুঃচিন্তা না করে খুব সহজেই সিলেবাস শেষ করতে পারো আর তার সাথে তুমি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলও করতে পারো সেটার জন্যই এফ এস আর মেথড নামে একটা প্রুফেন থ্রি স্টেপ মেথড তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। তো চলো আর দেড়ি না করে শুরু করা যাক-

স্টেপ নাম্বার -১ঃ ফিল্টার করা

২০ ২০ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী তোমার হিমালয়ের মতো সিলেবাসের ২০ শতাংশ থেকে তোমার প্রশ্নের ৮০ শতাংশ আসবে। আর তুমিও যেহেতু সিলেবাসের মতো ৮০ শতাংশ সময় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে উড়িয়ে ফেলেছো আর এখন তোমার কাছে মাত্র ২০ শতাংশ সময় বেচে রয়েছে। তাই এখন তোমাকে সেই ২০ শতাংশ সিলেবাসের উপরই ফোকাস করতে হবে যে এখান থেকে পরীক্ষার ৮০ শতাংশ প্রশ্ন আসতে চলেছে। এবার তুমি কিভাবে বুঝবে কোন ২০ শতাংশ সিলেবাসের মধ্যে তোমার সেই ৮০ শতাংশ প্রশ্ন গুলো পড়বে তার জন্য তোমাকে সাহায্য নিতে হবে বিগত ৫ থেকে দশ বছরের প্রশ্ন গুলোর উপর। যদি তাও করতে না পারো তাহলে তুমি তোমার শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারো। তুমি তোমার শিক্ষককে বলে প্রতিটি চেপ্টার বাছাই করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো বাছাই করে যেই প্রশ্ন গুলো যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই প্রশ্ন গুলো পাশে তত গুলো করে স্টার চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর তোমাকে একটা খাতা তৈরি করতে হবে। এই খাতাটাই তোমার লাইফ সেভিং হতে চলেছে। তুমি চাইলে খাতার উপরে বড় বড় করে হেডিং দিয়ে দিতে পারো যে লাইফ সেভিং মুড। এবার সেই খাতায় এই বিগত ৫ থেকে ১০ বছরের প্রশ্ন পত্রে যতগুলো প্রশ্ন এসেছে বা তোমার শিক্ষক যে প্রশ্ন গুলো চিহ্নিত করে দিয়েছে সেই সব গুলো প্রশ্ন লিখে একই সাথে মুখস্ত করে নিয়ে প্রতিটা প্রশ্নের নিচে নিচেই প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে ফেলতে হবে। এর ফলে প্রতিটা প্রশ্ন তোমার এক বারেই পাকাপাকি ভাবে তৈরি হয়ে যাবে। এই কাজটা করার সময় তুমি দেখতে পাবে কিছু কিছু প্রশ্ন এরকম থাকবে যে প্রশ্ন গুলো বিভিন্ন পরীক্ষায় বার বার এসেছে। এরকম যে প্রশ্ন গুলো তুমি যত বার খুজে পাচ্ছো সেই প্রশ্ন গুলোর পাশে তোমার খাতায় ঠিক তত গুলো স্টার চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে। এতে করে যে প্রশ্নগুলোর পাশে যতগুলো স্টার চিহ্ন থাকবে তা দেখে তোমাকে বুঝতে হবে যে প্রশ্নকারীর সেই প্রশ্ন গুলো তত বেশি পছন্দের। আর যেই প্রশ্ন গুলো পাশে যত বেশি স্টার চিহ্ন থাকবে সেই প্রশ্নটার নাম দিবে রাজা প্রশ্ন। আর এই রাজা প্রশ্নটাকে জলে গুলে খেয়ে মুখস্ত করে নিতে হবে। এভাবে তোমাকে পুরো সিলেবাসটাকে ফিল্টার করে নিতে হবে। 

স্টেপ নাম্বার -২ঃ সিডিউল সু

ফিল্টারিং শেষ হয়ার পর তুমি হয়তো দেখলে কোনো একটা বিষয় তোমার খাতায় মোট ১০০ টা প্রশ্ন জড়ো হয়েছে। আর তোমার হাতে হয়তো আর সময় রয়েছে ৪ দিন। তাহলে প্রতিদিন তোমাকে সেই বিষয়ে ২৫টা করে প্রশ্ন রিভাইস করতে হব। 

স্টেপ নাম্বার-৩ঃ রিভােইস

কোনো একটা বিষয়ে যদি তোমার লাইফ সেভিং খাতায় মোট ১০০ টা প্রশ্ন জড়ো হয় তাহলে তুমি দেখবে ৮০ ২০ প্রিন্সিপাল অনুযায়ী সেই ১০০ টা প্রশ্নের মধ্যে ২০ টা প্রশ্ন এরকম থাকবে যেগুলোর পাশে একাধীক স্টার র্মাক থাকবে। তো সেই ২০ প্রশ্ন হলো খুবই গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন। মানে ওই রাজা মন্ত্রি সেনাপতি ওই আরকি। তাই তোমাকে সেই ২০ প্রশ্ন রিভাইস করে একদম নিশ্চিত পাকাপাকি ভাবে তৈরি করে ফেলতে হবে। এর পর যদি সময় বেচে থাকে তাহলে তখন লাইফ সেভিং খাতায় বাকি প্রশ্ন গুলো ও একবার করে রিভাইস করে নিয়ে তারপর ফাইনালি তোমার মা,বাবা,ভাই,বোন কিংবা কোনো বন্ধুকে সেই খাতাটা দিয়ে তাকে তোমাকে পড়া ধরতে বলতে হবে। যদি তুমি তাকে সব গুলো প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক ভাবে দিতে পারো তাহলে তো তোমার আর কোনো চিন্তাই নেই। কিন্তু যদি কিছু প্রশ্নের উত্তর আটকে যায় তাহলে সেগুলোকে গোল করে নোট ডাউন করে নিয়ে সেগুলোকে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে আবার একবার তোমাকে রিভাইস করে নিতে হবে। 

তো এভাবেই তোমাকে সবগওলোে এফ এস আর মেথড শেষ করে  সেগুলো কে ঠিক ঠাক ভাবে এপলাই করে তোমার হিমালয় পর্বতের মতো সিলেবাস খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করে ফেলতে পারবে এবং পরীক্ষায় কমপক্ষে ৮০ ভাগ র্মাকস তুমি নিশ্চিত ভাবে তুলে নিতে পারবে। সব সময় মনে রাখবে দুশ্চিন্তা করে কখোনো সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যার সমাধান হয় একমাত্র যেটা দরকার সেটা করতে শুরু করলে। সুতরাং দুশ্চিন্তা না করে আমাদের উচিত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *