খুশি থাকার প্রাকটিক্যাল উপায় How To Be Happy In Life

খুশি থাকার প্রাকটিক্যাল উপায় | How To Be Happy In Life

Lifestyle

আমরা সবাই যানি যে আমাদের জীবন অসংখ্য সমস্যায় ভরা। আর যখন আমরা আমাদের এই সমস্যা গুলোর কনো একটাকে সমাধান করার চেষ্টা করি তখনি সাথে সাথে আমাদের সামনে অন্য আর একটা সমস্যা এসে হাজির হয়। মনে করি আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার সমস্যাটাকে মিটানোর জন্য একটা জিম এ জয়েন করলেন। এবার আপনার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সেখানে পৌছানোর অভ্যাস করতে হবে। আর তারপর ব্যয়াম করে ঘাম ঝরানোর সমস্যা রয়েছে। আর তারপর তারাতারি বাড়ি ফিরে দ্রুত অফিস যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। যাতে করে অফিসে যেতে আপনার লেট না হয়ে যায়। আর এটা শুধু শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। ধরুন আপনি আপনার পাটনার এর সাথে একান্ত সময় কাটানোর জন্য সময় বার করার সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। আর তাই আপনি ঠিক করলেন যে এখন থেকে প্রত্যেক বুধবার আপনারা একান্ত সময় কাটাবেন। সমস্যা সমাধান তাই না? আসলে এমন না। এখন আবার আপনার সামনে নতুন এক সমস্যা এসে হাজির হবে। প্রত্যেক বুধবার আপনারা কি করবেন যাতে আপনারা দুজনেই খুশি হতে পারেন এই সমস্যা এসে হাজির হবে।

সত্যি বলতে সমস্যা কখোনো শেষ হয় না। সমস্যা হয়তো বদলে যায় বা সমস্যার উন্নতি হয়। খুশি থাকার চাবি এই সমস্যা গুলো কে সমাধান করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। একটু লক্ষ করুন যে এখানে চাবি টা হলো সমাধান। যদি আপনি সমস্যা থেকে বাচার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি হয়তো নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন যে আপনার জীবনে হয়তো কনো সমস্যাই নেই। এতে করে আপনার জীবনে আপনি কিছুই না শুধু মাত্র দুঃখই পাবেন। কিংবা আপনি যদি মনে করেন যে আপনার সমস্যাগুলোর কোন সমাধানই নেই তাহলেও আপনি জীবনে শুধুমাত্র দুঃখই পাবেন। মূল বিষয় হলো খুশি আসে সমস্যার সমাধানের মধ্য থেকে নাকি সমস্যার অনুপস্থিতি থেকে। খুশি থাকার জন্য আপনাকে কোন না কোন সমস্যার সমাধান করতে থাকা টা জরুরি। কিছু না কিছু হাসিল করতে থাকাটা জরুরি। কারন খুশি একটা চলতে থাকা চিরন্তন বিষয়। এটা এমন না যে এটা আকাশ থেকে আপনার কাছে এসে পরবে। অন্ধের মতো কোনো গুরুর কথা শুনতে থাকলে সব সময় খুশি থাকা যায় না। 

একদিন হটাৎ করে যদি আপনার কাছে অনেক টাকা চলে আসে তা হলে আপনি হয়তো আপনার গেরেজে একটার বদলে ৫ টা বাইক কিনতে পারবেন সুন্দর একটা বাড়ি করতে পারবেন। তাহলেও সমস্যার সমাধান মেলে না। এটা আপনার সামনে কোন নির্দিষ্ট যায়গাতে বা নির্দিষ্ট স্থানে এসে হাজির হতে পারে। সমস্যার সমাধান করা একটা শেষ না হওয়ার যাত্রার মত। কারন আজ আপনি যে সমস্যার সমাধান করবেন কাল সেটাই আপনার সামনে নতুন ভাবে এসে হাজির হবে। আর এই ভাবে এই চক্রটা সারা জীবন ধরে চলতে থাকবে। তাই সত্যি কারের কেবল আসল খুশি তখনি পাওয়া সম্ভব যখন কি না আপনি আপনার সমস্যা গুলো কে খুজে বের করতে পারবেন এবং একটা একটা করে সেগুলোর সমাধান করতে পারবেন। যে সমস্যা গুলোর সমাধান করলে আপনার আনন্দ লাগবে সেইগুলো খুজে বের করতে হবে। 

কখনো কখোন আমাদের যেই সমস্যা গুলোর সম্মুক্ষীন হতে হয় সেই গুলো সরল হয়। যেমন সঠিক রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনা বা পরবর্তী ছুটিতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় সেটা ঠিক করা অথবা কিছুদিন আগে শুরু করা ভিডিও গেমে লেভেল আপ করতে পারা। কিন্তু কখনো কখনো আমরা যেই সমস্যাগুলোর সম্মুক্ষীন হই সেগুলো বেশ যটিল হয়। যেমন নিজের বাবার সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো করা,  একটা ভালো কেরিয়ার বাছা বা একটা গভির বন্ধুত্ব তৈরি করতে চেষ্টা করা। সমস্যার ধরন কি সেটাতে কিছু যায় আসে না। সাধারন বুদ্ধিটা সেটাই থাকে সমস্যার সমাধান কর আর খুশি থাক। দুর্ভাগ্য বসত এই মাধ্যমটা শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে বাস্তব জীবনে সেটা প্রয়োগ করতে পারাটা এতটাও সহজ হয় না। কারন বেশিরভাগ লোক তাদের অযানতে তাদের জীবনকে দুই রকম ভাবে কঠিন করে তুলে।

নম্বর-১: অস্বীকার করা:

এনারা হচ্ছেন সেই দলের লোক যারা মানতেই রাজি নয় যে তাদের জীবনে কোন সমস্যা রয়েছে। এনাদের মনে হয় যে তাদের জীবনে কোন সমস্যা নেই। এরা সবসময় অস্বীকার করতে থাকে। আর নিজেকে বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে  রাখতে চান। যারা কিনা বিভিন্ন ভাবে নতুন নতুন সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে থাকে আর সেইগুলোকে সমাধানের চেষ্টা না করে চিন্তায় বিভর থেকে নিজেকে সমস্যাহীন মনে করে। এতে করে এনারা হয়তো কিছু সময়ের জন্য চিন্তা মুক্ত থাকতে পারে কিন্তু সেই খুশি বেশিক্ষন স্থায়ী থাকে না।

নম্বর-২: শিকার:

এনারা হলেন তারা যারা নিজেদের সমস্যার শিকার বলে মেনে নেয়। যেখানে তাদের হয়তো ক্ষমতা রয়েছে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করার। এনারা সাধারনত অন্যকে বা ভাগ্য কে নিজের এই সমস্যাগুলোর জন্য দায়ী মনে করে। এটা শিকার করে তারা হয়তো কিছু সময়ের জন্য শান্তি অনুভব করে কিন্তু তাদেরও জীবন রাগ, অসহায়তা,অভিমান আর নিসঙ্গহীনতায় ভরে যায়।

এই দুইটি মাধ্যমের মধ্যে অনেকে অস্বীকার করে আবার অনেকে শিকার করে। যারা মানতে রাজি নয় বা অন্যকে দোষ দিতে থাকে। কারন এগুলো করা অনেক সহজ। আর এতে কিছু সময়ের জন্য হলেও শান্তি পাওয়া যায়। এটা আমাদের সমস্যা থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও পিছু ছারায়। যার ফলে আমরা ক্ষনীকের জন্য হলেও একটা তৃপ্ততা অনুভব করি। কিন্তু এই স্বল্প মেয়াদি শান্তি আমাদের আসক্ত করে। যত আমরা আমাদের সমস্যাগুলো থেকে পালানোর চেষ্টা করি ততই আমরা এই মিথ্যা জিনিস গুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে পরি। 

আমাদের সবারই নিজস্য উপায় থাকে নিজেদের বেদনাগুলোকে কম করার। কিন্তু যত আমরা আমাদের সমস্যাগুলো থেকে দূরে পালাই বা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করি ততই আমরা আরও বেশি বেদনা সম্মুক্ষীন হই। যখন কিনা বাধ্য হয়ে আমাদের সেই সমস্যাগুলোর সম্মুক্ষীন হতে হয়। তাই এই বাস্তব সত্যি টাকে আপনাকে মেনে নিতেই হবে যে সমস্যা জীবনের অংস। এটা একের পর এক আসতেই থাকবে। কিন্তু তাই বলে হার মেনে নিরাস হয়ে গেলে হবে না। কারন পকৃত খুশি এই সমস্যাগুলোকে সমাধানের মধ্যেই রয়েছে। তাই সেই সমস্যাগুলোর খোজ করুন যেগুলো সমাধান করতে আপনার আনন্দ হয়। আর এটা মনে রাখুন সমস্যা সমাধান করার মাধ্যমেই আমাদের পকৃত খুশি এনে দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *